ব্রহ্মপুত্রে গোসলে নেমে এক ভাই বেঁচে ফিরলেও অপরজন নিখোঁজ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে দুই ভাই গোসলে নেমে এক ভাই মো. শাহা আলম (১৯) নিখোঁজ রয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরের এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়দের যৌথ তল্লাশি চললেও বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি।

নিখোঁজ শাহা আলম গাজীপুর জেলার সফিপুর উপজেলার সেনাবর গ্রামের রহম আলীর ছেলে। তিনি সফিপুর শহরের একটি গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। গত চার দিন আগে তিনি রৌমারীর ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে নানা নুর ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রোববার দুপুরে মামাতো ভাই সাজিম হাসানসহ নদে গোসল করতে নামেন শাহ আলম।

নিখোঁজের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে শাহা আলম তাঁর নানা নুর ইসলাম ও মামাতো ভাই সাজিম হাসানসহ ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম চরে জমি মাপতে যান। ফেরার পথে নানাকে বাড়ি যেতে বলে মামাতো ভাই সাজিমসহ ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নামেন। এ সময় তাঁরা তীর থেকে খানিক দূরে সাঁতার কাটতে গেলে দুজনই ডুবে যেতে থাকেন। তাঁদের উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে সাজিম চিৎকার করলে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ডিঙি নৌকার মাঝি উদ্ধারে এগিয়ে যান। মাঝি সাজিমকে উদ্ধার করতে পারলেও ততক্ষণে শাহ আলম ডুবে যান।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহ আলমকে উদ্ধারে তল্লাশি শুরু করে। তবে এই প্রতিবেদন তৈরির সময় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।

রৌমারী কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের স্টেশন ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমাদের ইউনিটে ডুবুরি না থাকায় পাশের জেলা জামালপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আনা হয়েছে। নদের দুর্ঘটনাস্থলে প্রায় ১৫-১৬ ফুট গভীরতা। তলদেশে কাঁদা মাটি থাকায় উদ্ধার কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। ডুবুরি দল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

এর আগে গত বুধবার জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে চার শিশু নিখোঁজ হয়। পরে বৃহস্পতিবার তিন শিশুর এবং আরও একদিন পর শুক্রবার আরেক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদক: সম্পাদকের নাম

অফিস এড্রেস: রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম - ৫৬৫০

অনুসরণ করুন

© 2024 Muktanchal News Portal.

Built with care by Pixel Suggest