রৌমারীতে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ৫০ গ্রাম

টানা কয়েকদিনের ভারিবৃষ্টি ও উজান থেকে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর, যাদুরচর, শৌলমারী বন্দবেড় ও চর শৌলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ঝাউবাড়ি, চত লাঠিয়াল ডাঙ্গা, চুলিয়ারচর, বারবান্দাসহ প্রায় ৫০টি গ্রাম। তা ছাড়া পূর্বইজলামারী, ভুন্দুরচর, চান্দারচর, নওদাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, বোল্লাপাড়া, খাটিয়ামারী, মেলারচর, বেহুলারচর, খেতারচর, বড়াইবাড়ি, রতনপুর, চর শৌলমারী ইউনিয়নের সুখেরবাতি, চর সুখেরবাতি, ঘুঘুমারীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা।

এদিকে চর নতুনবন্দর স্থলবন্দরটিও বন্যার পানিতে তুলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে মাঠে বৃষ্টির পানি জমে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় আসাম রাজ্যের পাহাড়ি ঢল মানকারচর কালো নদী দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা জিঞ্জিরাম নদী দিয়ে নেমে আসে। বন্যার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জিঞ্জিরাম নদী উপচে গিয়ে ওইসব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েকটি গ্রাম।
 

এসব এলাকার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা বা ভেলা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছেন। তবে গরু, মহিষ, ভেড়াঁ, ছাগলসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট। স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মানবেতর জীবন যাপন করছেন স্থানীয় পরিবারগুলো। 

রৌমারী সদর ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে আমার এলাকার চর নতুনবন্দর, চান্দারচর ও নওদাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার মানুষ বর্তমানে নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে।

রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদক: সম্পাদকের নাম

অফিস এড্রেস: রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম - ৫৬৫০

অনুসরণ করুন

© 2024 Muktanchal News Portal.

Built with care by Pixel Suggest