শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাটে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে থেকেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ার গতি কমেছে।
দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ ও পৌরসভা, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া ও মাদারগঞ্জ উপজেলার চর পাকেরদহ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে স্টেশনে পানি ঢুকেছে। স্টেশনের চার দিকে এবং আশপাশে বসতবাড়িতেও পানি।
রেলওয়ে স্টেশনে গরু নিয়ে আশ্রয় নেওয়া মো. তাঁরা মিয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিন বন্যার পানি ব্যাপক হারে বাড়ছে। আমার বাড়িঘরে পানি। তাই গরু-ছাগল নিয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছি।
স্টেশনে আশ্রয় নেওয়া আবু কালাম বলেন, ‘গতকাল বিকেলে গরু-ছাগল নিয়ে স্টেশনে এসেছি। বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। স্টেশনে গরু-ছাগল নিয়ে খুবই কষ্টে রয়েছি।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৯৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমা ওপরে রয়েছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার গতি কমেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় জেলার সাত উপজেলায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।