জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের টিনেরচর এলাকায় বুধবার সন্ধায় যমুনা নদীতে ২৮জন যাত্রীসহ একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৬ জনকে উদ্ধার করা স্ভব হলেও এখনো ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের হলকারচর হাওরাবাড়ী এলাকার ২৮ জন নারী পুরুষ বুধবার বিকালে নিজ বাড়ী থেকে নৌকাযোগে এসে চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিরষদ থেকে ১৫ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল উত্তোলন করেন। পরে তারা দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে একই নৌকাযোগে যমুনা নদী পথে নিজবাড়ী ফিরছিলেন। তারা চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের টিনেরচর এলাকায় পৌঁছলে যমুনার তীব্র ¯্রােত ও ঢেউয়ের আঘাতে যাত্রীসহ নৌকাটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ৮/১০টি নৌকা যোগে উদ্ধার অভিযান চালান। এতে হলকারচর হাওরাবাড়ী গ্রামের মনোয়ারা, সন্দেশ, জহর আলী, খলিলুর রহমান, ইখতিয়ার হোসেন ও মাহাবুর রহমানকেসহ ১৬ জন উদ্ধার হলেও নৌার মাঝি মনোহার আলী এবং একই গ্রামের শহিদুর রহমান, মো. শহিদ, রেজিয়া খাতুন ও রেশমী বেগমসহ ১২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সেখানে যাই। ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যর একটি উদ্ধারকারী ডুবুরি দল সেখানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
চুকাইবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান জানান, হলকারচর হাওরাবাড়ী এলাকার ২৭ জন মামুষ বুধবার বিকালে দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে নৌকাযোগে নিজবাড়ী ফিরছিল। এক পর্যায়ে নৌকাটি চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের চিনারচর এলাকায় যমুনার ঢেউয়ের আঘাতে মাঝ নদীতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রæত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, যমুনা নদীর তীব্র ¯্রােত ও ঢেউয়ের আঘাতে ২৮জন যাত্রীসহ একটি নৌকা যমুনায় ডুবে গেছে। এ খবর পেয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য স্থানীয়ভাবে ৮/১০টি নৌকা দিয়ে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসাথে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুুরি দলও নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।