জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পে ভিআইপি-দলীয় শ্রমিকরা কাজে না আসলেও অফিসকে ম্যানেজ করে শ্রমিক হাজিরা ভুয়া উপস্থিত দেখিয়ে বিল নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
১৮ মে, শনিবার প্রকল্পের ২৮ কর্মদিবস চলাকালে দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ের ইজিপিপি প্রকল্প সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৪৯ নং দক্ষিণ গামারিয়া হাবুর বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা হতে কাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পের ৫১ জন শ্রমিকের মধ্যে কাজে উপস্থিত রয়েছে মাত্র ২৬ জন শ্রমিক।
এই প্রকল্পের শ্রমিক সরদার ফুলু মিয়া জানান, আজ ২৬ জন উপস্থিত রয়েছে আরও ৫ জন মরা মাটি দিতে গেছে। এই প্রকল্পের শুরু থেকেই ২৫/২৬ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রকল্প নং- ৫০ খড়মা পূর্বপাড়া গণী খানের বাড়ি হতে নুরুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৪৫ জনের মধ্যে উপস্থিত পাওয়া গেছে মাত্র ২২ জন। এই প্রকল্পের সভাপতি ও শ্রমিক এরশাদসহ অনেকেই জানান, শ্রমিকদের মধ্যে নেতা বেশি, নেতারা কাজে আসে না। তারা কাজে না আসায় আমাদের উপর কাজের চাপ পড়ছে।
৫১নং- দিঘলকান্দি পশ্চিম পাড়া ভট্টর বাড়ি হতে কবরস্থান সহ মিঠুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৫৬ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৩২ জন শ্রমিক উপস্থিত ছিল।
এই প্রকল্পের শ্রমিক সরদার হাই মিয়াসহ অন্যান্য শ্রমিকরা জানান, গত ২৮ দিন যাবত এই প্রকল্পে প্রতি কর্মদিবসে ৩৬/৩৭ জন শ্রমিক কাজ করেছে। দলীয় শ্রমিকরা কাজে আসে না, তাই তারাই কাজ করছে।
৫২নং গায়েনপাড়া ইদ্রিসের বাড়ি হতে হাফিজুরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৬৪ জনের মধ্যে ৩৬ জন শ্রমিক কাজ করছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি আলি হোসেন জানান, নির্বাচন ও ধানকাটার জন্য অনেক শ্রমিকই কাজে আসে না।
৫৩নং- উৎমারচর পূর্বপাড়া মাসুমের বাড়ি হতে ছানার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পের ৫৩ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও শনিবার কোন শ্রমিককেই কাজে পাওয়া যায়নি।
অনুপস্থিত শ্রমিকদের ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সাঘে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ইজিপিপি কাজে কোন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকলে বিল দেওয়া হবে না।