রাজীবপুর প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৭২-এর সংলগ্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশিদের ৩০টি গবাদিপশু (ভেড়া ও ছাগল) আটক করে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব গবাদিপশু আটক করা হয়। গবাদিপশুর মালিক পূর্ব জালচিরাপাড়া গ্রামের হাসিনা বেগম, নবিয়া খাতুন ও আহাতন বেগম জানান, “আমরা প্রতিদিন সীমান্তে আমাদের গরু, ছাগল ও ভেড়া চড়াতে দিই। আজ হঠাৎ বিএসএফ জিনজিরাম নদীর তীর থেকে আমাদের মোট ৩০টি ছাগল ও ভেড়া ধরে নিয়ে গেছে। আমরা ও রাখালরা বারবার গবাদিপশুগুলো ফেরত চাইলে তারা (বিএসএফ) তা ফিরিয়ে না দিয়ে উল্টো হিন্দি ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা এখন দিশেহারা। এসব গবাদিপশু পালন করেই আমাদের সংসার চলে। আমরা দিন আনি দিন খাই। আপনাদের মাধ্যমে আমাদের ছাগল-ভেড়া ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি।”
রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, “৪৭-এ দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা সীমান্তে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া চড়াতে দেয়। আজ হঠাৎ বাংলাদেশিদের ৩০টি ছাগল বিএসএফ আটক করে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে বালিয়ামারী বিজিবি কোম্পানি সদর কমান্ডারকে ফোনে বিষয়টি জানাই। তিনি জানান, ‘এই কাজ আমার দায়িত্ব নয়। আপনি সিওকে জানান।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন করে বলেন, ‘সিও বলেছেন, চেয়ারম্যানকেই যেতে বলুন।'” বিজিবি কোম্পানি কমান্ডারের এমন আচরণে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে বালিয়ামারী বিজিবি কোম্পানি সদর কমান্ডার জানান, “আমি বর্তমানে সীমান্তে আছি। আপনারা ছাগল মালিকদের নিয়ে আসুন। ছাগল মালিকদের ছাড়া বিএসএফ ছাগল দিচ্ছে না। চেয়ারম্যান এর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, “চেয়ারম্যান আমাকে বলে আপনি জনগণের কর্মচারী আপনার দায়িত্ব সেগুলো ফিরিয়ে আনা। এখন আমার প্রশ্ন আমি কি চাকরি করি গরু ছাগল দেখবাল করার জন্য। এটা কি আমার কাজ? বলুন।