মামলার তিন দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ। হামলার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সবুজসহ তার সহযোগী জাকির হোসেন ও মাদক কারবারি নূরুন্নবীর বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মামলা করেন সাংবাদিক আনিছুর রহমান। তবে পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৯ মার্চ মাদক সম্রাট নূরুন্নবীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার তত্ত্বাবধানে থাকা যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজের সেচপাম্প ঘর তল্লাশি করে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের সন্দেহ– এই অভিযানের জন্য পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিক আনিছুর রহমান।
এ ছাড়া ২০২১ সালে কর্তিমারী বাজারে ‘যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়’ লেখা দুটি সাইনবোর্ড টানিয়ে জায়গা দখল করা হয়। ঘর নির্মাণের পর দখল করা জায়গাটি ব্যক্তিমালিকানা দাবি করে কার্যালয়টি ভাড়া দেয় আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ। গত ২ এপ্রিল দুপুরে দখলের সময় ও বর্তমান অবস্থার দুটি ছবি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন সাংবাদিক আনিছুর। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে অভিযুক্তরা। যে কারণে ওই রাতেই তারাবি নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে কর্তিমারী বাজারে তাঁর ওপর হামলা চালায় নূরুন্নবী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ও জাকির হোসেন।
নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক আনিছুর রহমানের অভিযোগ, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাঁর মা আমিনা খাতুন বলেন, ‘মাদকসহ এলাকায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ওরা (আসামিরা) আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলতে চায়।’
আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন রৌমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা। তাঁর ভাষ্য, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন সাংবাদিকরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামানের সঙ্গে। তাঁর দাবি, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।